১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএমএফের ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত আরও পেছালো

শেয়ার করুন

বাংলাদেশের আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেছালো, নতুন তারিখ ১২ মার্চ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পিছিয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বোর্ড সভার পেছানোর কারণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাস বন্ধ ছিল, যা বোর্ড সভার সময়সূচি পেছানোর প্রধান কারণ। পাশাপাশি ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আইএমএফের চাপ থাকলেও বাংলাদেশ এই ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

শর্ত ও রাজস্ব আদায় নিয়ে আপত্তি

আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং ডলার দর বাজারে সম্পূর্ণভাবে ছাড়ার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

এনবিআরের সূত্র জানিয়েছে, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ফলে এনবিআরের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। তবে অন্যান্য শর্ত, বিশেষত বাজার নিয়ন্ত্রণে ডলারের দর নির্ধারণে কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে আইএমএফের।

চলমান ঋণ কর্মসূচি

এর আগে বাংলাদেশ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় তিনটি কিস্তি পেয়েছে। চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। আইএমএফ এই বাড়তি ঋণ দিতেও নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। তবে এর বিনিময়ে কর আদায় ও নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলোকে কার্যকর করার মতো কঠোর শর্ত আরোপ করেছে।

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় নিয়ে জটিলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ রাজস্ব আদায় ও ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখাতে সক্ষম হলে ১২ মার্চ বোর্ড সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হতে পারে।

 

শেয়ার করুন