১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সহায়তা করবে জার্মানি

শেয়ার করুন

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন যে, তার সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সুইজারল্যান্ডের ডাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট প্রকাশ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ছয়টি কমিশনের দাখিল করা সংস্কার প্রতিবেদনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে, রাজনৈতিক দলগুলো একটি “জুলাই সনদে” স্বাক্ষর করবে, যা জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক চেতনা বজায় রাখবে।

বৈঠকে তারা আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে ছিল:

  • জুলাই অভ্যুত্থানের কারণ ও প্রভাব,
  • প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক,
  • রোহিঙ্গা সংকট,
  • মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি।

প্রধান উপদেষ্টা জার্মান চ্যান্সেলরকে জানান, কীভাবে তরুণরা দুর্নীতিপূর্ণ শাসনের অবসান ঘটাতে জুলাই অভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিল। বিশেষত, একজন ১২ বছর বয়সী ছাত্রের আত্মত্যাগের গল্প শলৎসকে জানানো হয়, যিনি অভ্যুত্থানে যোগদানের আগে তার মায়ের কাছে একটি চিঠি লিখে শহীদ হন।

ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেন এবং জার্মান ব্যবসায়ীদের একটি দলকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় পাঠানোর আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগ বাড়ানোর আমন্ত্রণও জানান।

একই সঙ্গে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরিতে চ্যান্সেলর শলৎসের সহায়তা চান।

সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা জুরিখের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাকে স্বাগত জানান সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আরিফুর রহমান। প্রধান উপদেষ্টার আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

শেয়ার করুন