
চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর-হারবাং ইউনিয়ন এবং লামা উপজেলার ফাইতং এলাকায় ইট তৈরির ও ইটভাটা স্থাপনের আইন মানা হচ্ছে না। আবাসিক এলাকা, কৃষি জমি ও পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ ইটভাটা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব ইটভাটার চারপাশে শত শত মণ কাঠ মজুত রয়েছে। গাছ কেটে তা গাড়িতে এনে প্রকাশ্যে ইটভাটার সামনে কাঠ পরিমাপ করা হচ্ছে। ভাটাগুলোতে কয়লার পরিবর্তে গাছের গুড়ি পোড়ানো হচ্ছে। এতে নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে মূল্যবান বনজ ও ফলদ গাছ।
ইটভাটার ধুলা, কালো ধোঁয়া ও অতিরিক্ত তাপের কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকার সবুজ মাঠ, বনজ সম্পদ এবং ফলদ গাছ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া, পাহাড় কেটে ইট তৈরির কারণে পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের পথে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব ভাটায় প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এলাকাজুড়ে গাছপালা উজাড় হচ্ছে এবং পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। প্রশাসনের নীরবতায় ভাটা মালিকরা কোনো অনুমোদন বা নিয়মের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। চকরিয়া এলাকায় এমন কমপক্ষে ১২টি ইটভাটা সক্রিয় রয়েছে।
কিছুদিন আগে এসব পরিবেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে চকরিয়ার বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন মানববন্ধন করেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, “এসব ইটভাটার একটিরও অনুমোদন নেই। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”