
ভারতের গাড়ি বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি থাকলেও সেটি আশাব্যঞ্জক নয়, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর পর থেকে। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) বিক্রির ক্ষেত্রে দ্রুত প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রথাগত জ্বালানিচালিত যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি বেড়েছে ৫.১৮%, কিন্তু বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯.৯৩%। ২০২৪ সালে ভারতে ১৪ লাখেরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা মোট গাড়ি বিক্রির ৫.৬%। আগের বছর এই হার ছিল ৪.৪%, অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইভি বিক্রি বেড়েছে ১.২ শতাংশীয় পয়েন্ট।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী নয়াদিল্লির একটি গাড়ি মেলায় বলেন, “ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এটি আরও ত্বরান্বিত হবে।” আরেক মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি বলেন, “ভারতের গাড়ি শিল্পের বর্তমান বাজার আকার ২২ লাখ কোটি রুপি। আগামী পাঁচ বছরে এটি চার গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।”
ফাডা (গাড়ি বিক্রেতাদের সংগঠন) জানিয়েছে:
- ২০২৩ সালে ভারতে চার চাকার ইভি বিক্রি ছিল ৮৩ হাজার, যা ২০২৪ সালে ৯৯ হাজারে পৌঁছেছে।
- দুই চাকার ইভি বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩.৫%, যা বিক্রির সংখ্যা ১১.৫ লাখে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট:
বাংলাদেশেও পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে উচ্চ নিবন্ধন ফি ও আমদানি শুল্কের কারণে এ বাজারটি এখনো তেমন বিকশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা এবং বিক্রি দ্রুত বাড়বে।