
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের উপ-পরিচালক কমলেশ মণ্ডল, আসামির আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামি মহিবুল হাসান চৌধুরী ওরফে নওফেল অসৎ উদ্দেশ্যে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন। এছাড়া, তিনি ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব অর্থ দুর্নীতি, ঘুষ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত বলে দাবি করা হয়েছে।
দুদক আরও উল্লেখ করে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন।
মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির আয়-ব্যয়ের সঠিকতা যাচাই, অন্য কোনো সম্পদ রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য তার আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন বলে আদালতে জানানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর ২০ বিধি অনুযায়ী এ জব্দের আবেদন করা হয়।
আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।