১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ হাজার বাংলাদেশিসহ ৯০ হাজার কর্মী নেবে গ্রিস

শেয়ার করুন

ইউরোপের দেশ গ্রিস ২০২৫ সালে কর্মী সংকট মোকাবিলায় তৃতীয় দেশ থেকে ৮৯,২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্দেশ্যে গ্রিক মন্ত্রিসভা একটি গেজেট পাস করেছে। এর আওতায় পূর্ববর্তী চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার শ্রমিককে ভিসা দেওয়া হবে।

গ্রিসে কৃষি, নির্মাণ ও পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় তিন লাখ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। কর্মী সংকট মোকাবিলায় ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্ট, নির্মাণ শ্রমিক, ওয়েল্ডার, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, সাইট ইঞ্জিনিয়ার, ভারী যন্ত্রপাতি অপারেটর এবং গাড়ি চালকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

তবে সবচেয়ে সংকটপূর্ণ অবস্থা কৃষি খাতে। দীর্ঘদিন ধরে কৃষি খাতে শ্রমিকের অভাব মোকাবিলা করছে দেশটির কৃষি খাতের মালিকরা।

গেজেট অনুযায়ী নিয়োগ পরিকল্পনা
গেজেট অনুসারে ৮৯,২৯০ জন কর্মীর মধ্যে অদক্ষ কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, মেশিন অপারেটর এবং কারখানার কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ৪৫,৬৭০ জনকে মৌসুমি কাজ বা সিজনাল ভিসায় আনা হবে।

২০২৩-২৪ সময়কালের জন্য এক লাখ ৪৭ হাজার ৯২৫ জন কর্মী আনার কোটা নির্ধারণ করা হলেও, এবার তা কিছুটা হ্রাস করা হয়েছে। মূলত কৃষি, নির্মাণ, পর্যটন এবং খাদ্য খাতে নিয়োগকর্তাদের চাহিদা পূরণের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

২০২৫ সালের গেজেট অনুযায়ী:

সিজনাল ভিসা: ৪৫,৬৭০ জন

উচ্চ দক্ষ কর্মী: ২,০০০ জন

স্পন্সর ভিসা বা নির্ভরশীল কর্মসংস্থান: ৪১,৬৭০ জন
গেজেট অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও মিশরের সঙ্গে হওয়া চুক্তির আওতায় প্রায় ৯,০০০ কর্মী আনা হবে।

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রেক্ষাপট
২০২২ সালে বাংলাদেশ এবং গ্রিসের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, কৃষি, বন, মৎস্য এবং পর্যটন খাতে ৪,০০০ বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গ্রিস-মিশর অভিবাসন চুক্তির আওতায় কৃষি খাতে মৌসুমি কর্মসংস্থানের জন্য ৫,০০০ মিশরীয় কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশিদের ভিসা প্রাপ্তির জটিলতা
বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় ভিসা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা জটিলতার মুখে পড়ছেন। চুক্তির দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও ভিসা কার্যক্রমে তেমন অগ্রগতি হয়নি।

সমাধানের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশ ও গ্রিস সরকারের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং ভিসা প্রসেসিং সহজ করার মাধ্যমে শ্রমিকদের ভিসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে।

 

শেয়ার করুন