
সুশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি রোধে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করবে, এই অভিপ্রায় নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা অংশ নেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘোষণাপত্রের খসড়ায় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, পাকিস্তান আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী ইতিহাস এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণবিক্ষোভের উত্তাল পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। খসড়ায় বলা হয়, ছাত্র-জনতা তাদের অধিকার আদায়ে একত্রিত হয়ে সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানায়। এছাড়াও, ফ্যাসিবাদী এবং স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রতিরোধে ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭২ ও ১/১১ কালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন, জনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রে নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যের অবসান ঘটানোর প্রয়োজনীয়তার কথা।
গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের চেষ্টা করা হয় এবং তখন থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার সময়সীমা দেওয়া হয়। ১৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, সেই লক্ষ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।