১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসল্লি রাকাত ধরার জন্য রুকুতে ইমামের দেরি করার বিধান

শেয়ার করুন

তাকবিরে উলার গুরুত্ব এবং রুকুতে ইমামের অপেক্ষার বিধান

নামাজে তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) সঙ্গে ইমামের সঙ্গে উপস্থিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

তাকবিরে উলার ফজিলত

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ আদায় করবে এবং প্রথম তাকবিরও পাবে, তার জন্য দুটি মুক্তির পরওয়ানা লেখা হবে— (১) জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং (২) নেফাক থেকে মুক্তি।”
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪১)

বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একজন বদরি সাহাবিকে বলতে শুনেছি, তিনি তার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামাজ পেয়েছ?” ছেলে বললেন, “জ্বি।” সাহাবি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তাকবিরে উলা পেয়েছ?” ছেলে বললেন, “না।” তখন তিনি বলেন, “তুমি ১০০ কালো চোখ বিশিষ্ট উটের চেয়েও অধিক কল্যাণ হারিয়েছ।”
(মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস নং ২০২১)

রুকুতে ইমামের অপেক্ষার বিধান

প্রশ্ন উঠেছে, ইমাম কি রুকুতে নতুন কোনো মুসল্লির জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন?

ইসলামী আইন ও ফিকহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো:
ইমামের দায়িত্ব হলো সুন্নাহসম্মত পন্থায় নামাজ আদায় করা। কোনো আগন্তুক মুসল্লির জন্য রুকু বা কিরাত লম্বা করা উচিত নয়। তবে কেউ যদি মুসল্লিদের রাকাত পাওয়ার উদ্দেশ্যে রুকু বা কিরাত একটু দীর্ঘ করেন, তাহলে এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।

তবে বিশেষ কোনো ব্যক্তির মনোরঞ্জনের জন্য ইমামের এমনটি করা জায়েজ নয়।
(আল-মুহীতুল বুরহানী ২/১১৫; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়্যা ১/১০৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৫৫)

উপসংহার

তাকবিরে উলা পাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুসল্লিদের উচিত মসজিদে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা। আর ইমামদের কর্তব্য হলো সুন্নাহসম্মত পন্থায় নামাজ পরিচালনা করা, কোনো ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির জন্য নামাজের আদায়ে অস্বাভাবিক পরিবর্তন না আনা।

 

শেয়ার করুন