১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তদন্তের সময় পদত্যাগী শিক্ষকরা বেতন পাবেন

শেয়ার করুন

জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তদন্তে যারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে তাদের স্বপদে বহাল করা হতে পারে।

গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালককে পাঠিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে একটি পত্র বা আদেশ জারি করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কমিশনারদের জানানো হয়েছে, ‘জোরপূর্বক পদত্যাগের পেছনে যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় যথাযথ নির্দেশনা জারি করবে। তদন্ত প্রতিবেদন আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।

জানা গেছে, সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে গত এ বিষয়ে জুমে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে উল্লিখিত (পদত্যাগে বাধ্য করা শিক্ষকদের) বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা খুশি। তারা জানান,  কয়েকমাস ধরে তারা মন্ত্রণালয়, আদালত, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন ও রিট করেছেন। পদ ফিরে পেতে ও কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধনও করেছেন কয়েকবার। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পারা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকরা সর্বশেষ শিক্ষা অধিদপ্তরগুলোতে গিয়েছিলেন ইএফটিতে নাম তুলতে।

পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের প্রকৃত সংখ্যা কেউ বলতে না পারলেও দুই হাজার বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীদের অনেকেই। এসব বিতাড়িত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকরা আগের পদে বহালের জন্য দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবিও জানিয়েছিলেন কয়েকবার।

শেয়ার করুন