১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্চ ফর ফেলানী, নেতৃত্ব দেবেন সারজিস আলম

শেয়ার করুন

কুড়িগ্রামে “মার্চ ফর ফেলানী” উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম শাখা।

সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়স্থ অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ জানান, “মার্চ ফর ফেলানী” উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা কুড়িগ্রামে পথযাত্রা শুরু করবেন। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কুড়িগ্রাম জেলা সংগঠক মুকুল মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ, সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ সাগর, এবং মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য
ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, “কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার পর কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। সীমান্তে বিএসএফের এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চলছেই। বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। তাই ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে জাতীয় আন্দোলন শুরু করা হবে।”

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ নেতৃবৃন্দ কুড়িগ্রামে পথসভা ও আন্দোলন শুরু করবেন। কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি জাতীয়ভাবে পরিচালিত হবে।

আন্দোলনের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা

ভারতের সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি তোলা।

ফেলানী হত্যার বিচার নিশ্চিত করা।

বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে তুলে ধরে সরকারের সহায়তায় ভারতকে চাপ প্রয়োগ করা।

ড. মুজাহিদ আরও বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এটি শুধু কুড়িগ্রামের নয়, বরং সারা দেশের মানুষের দাবি।”

এই কর্মসূচির মাধ্যমে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হবে।

 

শেয়ার করুন