
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, পাশে কানাডা
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি দিয়েছেন। এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানলের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ভয়াবহ এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি। প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন।
কানাডার সহমর্মিতা
প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল মোকাবিলায় সহায়তার জন্য তার দেশ থেকে ৬০ জন দমকলকর্মী পাঠানো হবে। রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানান তিনি।
দাবানলের ভয়াবহতা
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল যেন পুরো শহরকে তছনছ করে ফেলেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। দাবানলে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ধোঁয়া, ধ্বংসাবশেষ আর আগুনের ভয়াবহতার মধ্যেও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
দাবানল কেন এত দ্রুত ছড়াচ্ছে?
লস অ্যাঞ্জেলেসে দীর্ঘ খরা, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তারপর শরৎ-শীতকালে শুষ্ক পরিবেশ দাবানল ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া শক্তিশালী স্যান্টা আনা বাতাস আগুনকে আরও ভয়ংকর করে তুলেছে।
স্যান্টা আনা বাতাস কী?
স্যান্টা আনা বাতাস হলো শুষ্ক, ঝড়ো এবং শীতল বাতাস, যা ক্যালিফোর্নিয়ার আগুন ছড়িয়ে পড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বাতাস গ্রেট বেসিন এলাকার উচ্চ-চাপ বায়ুপ্রবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে ধেয়ে আসে। বাতাস গাছপালাকে শুকিয়ে ফেলে এবং দাবানল ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে।
দাবানলের ভয়াবহতা কমাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তার এই প্রচেষ্টা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।