
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বই বিতরণে দেরি, ছাপা হয়েছে ১১ কোটি বই: সরকারের ব্যাখ্যা
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য নির্ধারিত ৪০ কোটি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৩টি বই ছাপা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ এবং সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি।
বই বিতরণে দেরি ও শিক্ষার্থীদের অসুবিধা
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ছাপা হওয়া অধিকাংশ বই ইতোমধ্যে বিতরণ করা হলেও এখনও অনেক বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছায়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে তিনি জানান, বেশিরভাগ বই অনলাইনে সহজলভ্য রয়েছে, যা শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারছে।
দেশে বই ছাপার উদ্যোগে দেরি
তিনি উল্লেখ করেন, আগে বেশিরভাগ বই বিদেশ, বিশেষত ভারতে ছাপানো হলেও এবার সব বই বাংলাদেশে ছাপানো হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে দেরি হলেও দেশীয় শ্রমিকরা উপকৃত হয়েছেন। তাছাড়া, বিগত সরকারের সময় গড়ে ওঠা অসাধু চক্র এবার বই ছাপানোর প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা করেছে, যা এই সমস্যার অন্যতম কারণ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা
সরকার আশা করছে, চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সব বই ছাপার কাজ শেষ হবে। বই ছাপানোতে দেরির জন্য যারা অসহযোগিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনসিটিবির (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) কোনো সদস্য বা বই ছাপানোর সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সরকার দেরির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এই সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।