
বনি ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান নবী ছিলেন জাকারিয়া (আ.)। তিনি ছিলেন ঈসা (আ.)-এর মা হজরত মারইয়াম (আ.)-এর অভিভাবক। মহান আল্লাহর এই প্রেরিত পুরুষের জীবন অলৌকিক ঘটনাবলিতে পরিপূর্ণ। এসব ঘটনার মধ্যে অন্যতম হলো, বার্ধক্যে সন্তান লাভ।
হজরত জাকারিয়া (আ.) দীর্ঘদিন নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি যখন দেখলেন, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মৌসুম ছাড়াও বিভিন্ন ফলমূল মারইয়াম (আ.)-এর কাছে আসছে, তখন তাঁর মনেও আল্লাহর কুদরতের ওপর ভরসা করে সন্তান লাভের আশা জাগে। এরপর তিনি আল্লাহর কাছে সন্তান লাভের জন্য দোয়া করেন। যদিও তখন তিনি ছিলেন বার্ধক্যে উপনীত। কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহ ও কুদরতের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তিনি প্রার্থনা চালিয়ে যান।
জাকারিয়া (আ.)-এর দোয়া
তিনি যে দোয়াটি করেছিলেন, তা হলো—
আরবি:
رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء
উচ্চারণ:
রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দুআ।
অর্থ:
‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা গ্রহণকারী।’
(সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩৮)
কোরআনে বর্ণিত জাকারিয়া (আ.)-এর ঘটনা
পবিত্র কোরআনে জাকারিয়া (আ.)-এর ঘটনা এভাবে বর্ণিত হয়েছে—
“এটি আপনার রবের বান্দা জাকারিয়ার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহের বর্ণনা। তিনি গোপনে তাঁর রবকে ডাকেন। তিনি বলেন, ‘হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হয়ে গেছে এবং বার্ধক্যে আমার মাথা শুভ্র হয়ে গেছে। হে আমার প্রতিপালক! আপনাকে ডেকে আমি কখনো নিরাশ হইনি। আমি আশঙ্কা করি আমার মৃত্যুর পর আমার স্বগোত্রীয়দের বিষয়ে। আর আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। সুতরাং আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে উত্তরাধিকারী দান করুন।’”
(সূরা মারইয়াম, আয়াত : ২-৫)
এই ঘটনা আমাদের আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা এবং ধৈর্যসহ দোয়া করার শিক্ষা দেয়।