
হাই তোলা: ইসলামি দৃষ্টিকোণ এবং করণীয়
হাই তোলা একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যা সাধারণত অলসতা, ক্লান্তি বা ঘুমের কারণে ঘটে। তবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি শয়তানের প্রভাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে বর্ণিত হয়েছে। ইসলাম হাই তোলার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও আদব অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছে।
হাদিসে হাই তোলার নির্দেশনা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
1. হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে আসে:
> “নিশ্চয় আল্লাহ হাঁচিকে পছন্দ করেন এবং হাইকে অপছন্দ করেন। পক্ষান্তরে হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তাই যখন কেউ হাই তোলে, তখন তা যথাসাধ্য দমন করার চেষ্টা করো। কারণ, যখন কেউ হাই তোলে এবং ‘হা-’ বলে, তখন শয়তান হাসে।”
(বুখারি, হাদিস: ৬২২৩, ৬২২৬; মুসলিম, হাদিস: ২৯৯৪)
2. মুখ ঢাকার নির্দেশ:
> “তোমাদের কেউ যখন হাই তোলে, তখন মুখ ঢেকে রাখো। কারণ, শয়তান এতে প্রবেশ করে।”
(মুসলিম, হাদিস: ২৯৯৫)
হাই তোলার আদব
১. মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রাখা:
হাই তোলার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢেকে দেওয়া সুন্নত। এটি শয়তানের প্রবেশ এবং তার উপহাস থেকে রক্ষা করে।
২. হাই দমন করার চেষ্টা করা:
যথাসাধ্য হাই দমন করতে হবে। এটি অলসতা ও শয়তানের প্রভাব দূর করতে সহায়তা করে।
৩. ইবাদতের সময় সতর্ক থাকা:
ইবাদতের সময় হাই উঠলে তা আল্লাহর প্রতি মনোযোগ কমানোর শয়তানের একটি কৌশল। এ সময় আরও মনোযোগী হওয়া জরুরি।
উপকারিতা
হাই তোলার আদব অনুসরণ করলে ব্যক্তি শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পান।
এটি ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলার একটি চর্চা হিসেবে গণ্য হয়।
হাই তোলা একটি স্বাভাবিক বিষয় হলেও ইসলামে এটি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বর্ণিত হয়েছে। তাই ইসলামের নির্দেশিত আদব অনুসরণ করা এবং হাই দমন করার চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। এটি শৃঙ্খলা এবং ইবাদতে মনোযোগ বাড়ানোর একটি উপায়।