১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে আজহারীর মাহফিল ঘিরে তিন শতাধিক জিডি

শেয়ার করুন

যশোরে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিতে গিয়ে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস হারিয়েছেন বহু মানুষ। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে ভিড় জমিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জিডি নথিভুক্ত হয়েছে, এবং সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে শহরতলির পুলেরহাটে অবস্থিত আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে এই চুরির ঘটনা ঘটে। ভিড়ের মধ্যে পদদলিত ও ধাক্কাধাক্কিতে আহত হন অন্তত ২০ জন, যাদের মধ্যে ১১ জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মাহফিলের বিশাল সমাগম
আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এই তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে (শুক্রবার) বক্তব্য দেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তার উপস্থিতির খবর পেয়ে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সমবেত হন। বিকেল থেকেই সড়ক ও মহাসড়কে নারী, পুরুষ, শিশুর ঢল নামে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। সন্ধ্যায় শায়খ আহমাদুল্লাহও মাহফিলে বক্তব্য রাখেন।

চুরির ঘটনা ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্য
মায়ের দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার খোয়া যাওয়ার ঘটনায় থানায় জিডি করতে আসেন রূপদিয়ার ইব্রাহিম হোসেন। তিনি জানান, তার মা মহিলা প্যান্ডেলে বসে ওয়াজ শুনছিলেন। একপর্যায়ে গলায় হাত দিয়ে দেখেন, হার নেই।

নওয়াপাড়া এলাকার হয়রত হোসেন জানান, তার স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন চুরি হয়েছে। তিনি এ ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধমূলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এত বড় আয়োজনের ক্ষেত্রে আরও ভালো ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা দরকার ছিল।”

পুলিশের অবস্থান
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ অনেক মূল্যবান জিনিস হারানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং তদন্ত করছে।

মাহফিলের সূচনা
১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই মাহফিলের প্রথম দিন আলোচনা করেন আল্লামা মামুনুল হক ও আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয় দিন বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ও মুফতি আমির হাজমা। শেষ দিনে আলোচনা করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

 

শেয়ার করুন