
কোমর ব্যথা: কারণ, করণীয় ও প্রতিরোধের উপায়
কোমর ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকে ভোগায়। এটি কখনও অল্প সময়ে সেরে যায়, আবার কখনও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় রূপ নেয়। চিকিৎসকদের মতে, সঠিক চিকিৎসা নিলে ৯০ শতাংশ রোগী দুই মাসের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেন।
কোমর ব্যথা শুরু হলে করণীয়
1. বিশ্রাম নিন
ব্যথা শুরু হলে সম্ভব হলে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।
ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে এমনভাবে শুয়ে থাকুন, যাতে কম ব্যথা অনুভূত হয়।
2. তোয়ালে ব্যবহার করুন
একটি তোয়ালে রোল করে কোমরের চারপাশে গোল করে বেঁধে নিন।
এটি শুধুমাত্র বিছানায় বিশ্রামের সময় ব্যবহার করুন।
3. গরম সেঁক
অনেক ক্ষেত্রে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমে যায়। তবে এটি ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
4. মলম ব্যবহার
কোমরে ব্যথার জন্য বিভিন্ন মলম ব্যবহার করতে পারেন।
তবে মালিশ করা থেকে বিরত থাকুন।
5. ডাক্তারি পরামর্শ
ব্যথা তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের দেওয়া নির্ধারিত ওষুধ সেবন করুন। যথেচ্ছ ব্যথানাশক এড়িয়ে চলুন।
যে ব্যায়াম করবেন
1. পায়ের ব্যায়াম
বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে দুই হাত শরীরের পাশে রেখে দুই পা সোজা করুন।
এক পা সোজা রেখে উপরে তুলুন যত দূর সম্ভব এবং ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এরপর অপর পা একইভাবে তুলুন।
2. দুই পা তোলা
একইভাবে চিত হয়ে শুয়ে দুই পা একসঙ্গে তুলুন।
১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
3. হাঁটু টান
এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে ধরে হাঁটু বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন। ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
একইভাবে অপর হাঁটু বুকে লাগান।
যদি ব্যথা না কমে
উপরের ব্যায়ামের পরেও যদি ব্যথা কমে না যায়, তবে সঠিক মোবিলাইজেশন, ম্যানুপুলেশন এবং স্ট্রেচিং চিকিৎসা নিতে হবে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও দাঁড়ানো অভ্যাস করুন।
ভারী জিনিস তোলার সময় সতর্ক থাকুন।
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সঠিক যত্ন ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কোমর ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।