
পৌষের কুয়াশার চাদরে নববর্ষ: উত্তরের জনপদে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত মানুষ
পৌষের শেষ ভাগে ইংরেজি নববর্ষের সকালটি কেটে গেছে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা অবস্থায়। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কনকনে ঠান্ডা, যা উত্তরবঙ্গের বিশেষত পঞ্চগড়ের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে জনজীবনকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার রেকর্ড
জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় এটি ছিল ১২.৫ ডিগ্রি। গত বছরের শেষ দিনে এই তাপমাত্রা ছিল ১০.৯ ডিগ্রি। আশ্চর্যজনকভাবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতেও তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশায় ঢাকা জনপদ
সকালে শহর ও গ্রামের সড়কগুলো ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। গ্রামীণ জনপদে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন মানুষ। দিনমজুর, ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক এবং চা শ্রমিকরা জানান, ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসের কারণে কাজে বের হতে দেরি হচ্ছে। তবুও জীবিকার প্রয়োজনে শীত উপেক্ষা করে কাজ করতে হচ্ছে।
শীতজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি
শীতের তীব্রতায় জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। বিশেষত শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
ঘন কুয়াশার প্রভাব ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কিছুটা বাড়ে। তবে হিমেল বাতাস ও শিশিরের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
পঞ্চগড়সহ উত্তরের এই জনপদে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও জীবিকার তাগিদে মানুষ কাজ করে চলেছেন। এ সময় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা জরুরি হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার দিনে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র এবং তাপমাত্রা উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণে সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন।