১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বছরের শেষ দিনেও আশানুরূপ বুকিং নেই কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলগুলোতে

শেয়ার করুন

বছরের শেষ দিনেও আশানুরূপ বুকিং নেই কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলগুলোতে

বছরের শেষ সূর্যাস্ত এবং নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয় উপভোগ করতে প্রতিবছরই কুয়াকাটায় ভিড় জমায় হাজারো পর্যটক। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য দেখতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা এখানে নিয়মিত। তবে এ বছরের পরিস্থিতি ভিন্ন। হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা যথারীতি আগাম প্রস্তুতি নিলেও পর্যটকদের থেকে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।

কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে হোটেল-মোটেলগুলোতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলেও পর্যটকদের অভাব স্পষ্ট।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব

হোটেল-মোটেল মালিকদের মতে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় পর্যটন ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, “প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটের এক সপ্তাহ আগেই আমাদের সব রুম বুক হয়ে যেত। কিন্তু এবার আমাদের হোটেলের মাত্র ৫০ শতাংশ রুম বুক হয়েছে। এই অবস্থা শুধু আমার হোটেলের নয়, পুরো কুয়াকাটার।”

হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, “এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে আমাদের কোনো বিশেষ আয়োজন নেই। পর্যাপ্ত পর্যটক আসলে বড় আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আশানুরূপ বুকিং পাইনি।”

হতাশ ট্যুর অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট পেশার মানুষ

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)-এর প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “বছরের অন্যান্য ছুটির মতো থার্টি ফার্স্ট নাইটেও প্রচুর পর্যটক আসে। তবে এবার বুকিং কম হওয়ায় হোটেল মালিকসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট ২৬টি পেশার মানুষ হতাশ।”

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন

পর্যটকদের সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, “প্রতি বছর ডিসেম্বরজুড়ে পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে এবার কিছুটা কম। তবু থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে আমাদের টিম কাজ করছে।”

সার্বিক চিত্র

কুয়াকাটার পর্যটন খাতে চলমান অচলাবস্থা ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে আবারও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

শেয়ার করুন