
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে রেমিট্যান্স ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীরা আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতার প্রাণ কেন্দ্র। জুলাই আন্দোলনের সময় প্রবাসীরা কত বড় আত্মত্যাগ করেছে, সেটা ভাষায় বোঝানো যাবে না। তারা পরিবার নিয়ে দুর্দশায় আছেন। আন্দোলন করে যারা ফেরত আসছেন তাদের বোয়েসেলের মাধ্যমে পাঠানোর চেষ্টা করব। তাদের দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।”
দুবাইয়ে আন্দোলন করে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, “আমি যখন বিদেশ যাই, প্রবাসীরা ইসলামী ব্যাংকগুলোতে টাকা পাঠানোর কথা বলে। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে টাকা পাঠান। ফ্যাসিবাদের দোসররা ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এই ব্যাংকগুলোকে টার্গেট করে পঙ্গু করে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা পাসপোর্ট নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড নিয়ে যে দাবি ছিল সেটি নিয়েও কাজ হচ্ছে। আমাদের সাপ্লাইয়ের তুলনায় ডিমান্ড বেশি। অনেক এজেন্সি আছে কীভাবে শ্রমিকদের ঠকানো যায়। এদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে যায় বেশি। আমরা চেষ্টা করব ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর। ইইউর সঙ্গে পার্টনারশিপ করে আমাদের কাজও চলছে।”
আসিফ নজরুল বলেন, “২৭টা দূতাবাসে আমাদের লোক আছে। আপনারা তাদের কাছ থেকে খারাপ ব্যবহার পান, এটা আমাদের কাছে খুবই খারাপ লাগে। দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আমরা তাদের জানিয়েছি বিষয়টা। চেষ্টা করব আপনাদের হয়রানি কমানোর। এছাড়াও প্রবাসীদের ভোটের জন্য আমরা সর্বোচ্চ কাজ করছি। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”