মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স (সিপিএসি)-এ বক্তৃতাকালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের জন্য ইউএসএইডের মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই অর্থ উগ্র বামপন্থি কমিউনিস্টদের ক্ষমতায় আনতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই তহবিল একটি অখ্যাত বাংলাদেশি সংস্থাকে প্রদান করা হয়েছে, যেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করেন।
তবে, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নাম সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া, ইউএসএইড সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ইউএসএইডের বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড বি. অ্যারন জানুয়ারি মাসে স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনগুলোকে এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে ইউএসএইডের অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধ করা হয়েছে। তবে, জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরের সামরিক অর্থায়ন এই স্থগিতাদেশের বাইরে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউএসএইড দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে আসছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
