
নিশ্চয়ই শুনেছেন যে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়? কিন্তু আপনি কি জানেন, কিছু মাছ ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে? মাছ প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজের দুর্দান্ত উৎস, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। চলুন জেনে নিই, এমন কিছু মাছ সম্পর্কে, যা ওজন কমাতে কার্যকর
১. তেলাপিয়া
তেলাপিয়া হলো একটি বাজেট-বান্ধব, কম চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত মাছ, যা ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত। এর স্বাদ হালকা, রান্না করা সহজ এবং এটি বিভিন্ন মসলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়। তেলাপিয়াতে ফসফরাস ও সেলেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে, যা বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক।
২. স্যামন
স্যামন ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা প্রদাহ কমিয়ে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। স্যামনের প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমায়। এছাড়া, এতে থাকা ক্যালসিটোনিন হরমোন হজম প্রক্রিয়া ধীর করে এবং ক্যালোরি পোড়ানোর হার বাড়ায়।
৩. টুনা
টুনা হলো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এবং কম ক্যালোরিযুক্ত একটি মাছ, যার প্রতি আউন্সে প্রায় ২২ গ্রাম প্রোটিন ও ১০০ ক্যালোরির কম থাকে। এটি তাজা কিংবা টিনজাত উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার মতে, টিনজাত অ্যালবাকোর টুনায় প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সহায়ক।
৪. সার্ডিন
সার্ডিন হলো ছোট আকৃতির ফ্যাটি মাছ, যা প্রোটিন, ওমেগা-৩ এবং ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এই উপাদানগুলো চর্বি কমাতে ও পেশির গঠনে সাহায্য করে। মার্কিন কৃষি বিভাগ (USDA)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৩.৭৫ আউন্স সার্ডিনের ক্যান থেকে প্রায় ২৩ গ্রাম প্রোটিন ও প্রচুর ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। যেহেতু সার্ডিন সাধারণত পুরো খাওয়া হয়, এটি অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাছের তুলনায় বেশি পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে। ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাজা বা টিনজাত সার্ডিন খাওয়া যেতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য মাছের প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশ কার্যকর। তবে রান্নার পদ্ধতির দিকেও নজর দিতে হবে—ভাজার বদলে গ্রিল, বেক বা সেদ্ধ করে খাওয়াই ভালো। সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের সঙ্গে এসব মাছ অন্তর্ভুক্ত করলে ওজন কমানো সহজ হবে।