১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যতিক্রম ট্রাম্প, সবার আগে সৌদি আরবকে গুরুত্ব

শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য সৌদি আরব যেতে পারেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সৌদি আরব তার প্রথম সফর হতে পারে, যা তার প্রথম মেয়াদেও ছিল। ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর হিসেবে যুক্তরাজ্যে যান, তবে ট্রাম্প তার মেয়াদে সৌদি আরবকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং এবারও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ট্রাম্প আরও জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্বের কারণে তার পূর্বের সফরটি বিশেষ ছিল। সৌদি আরব থেকে শত কোটি ডলারের পণ্য ক্রয়ের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি সেই প্রস্তাব বাস্তব হয়, আমি আবারও সৌদি আরব যেতে প্রস্তুত।”

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে শক্তিশালী। বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সৌদি আরবকে জ্বালানি ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হয়ে যায়, যার পেছনে ছিল সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড। যদিও বাইডেন তার শাসনামলের পরবর্তী সময়ে সেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন, তবে তা আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর, এমনকি ট্রাম্পের জামাতা ও সাবেক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনারের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব ছিল। খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ট্রাম্প কখনোই নিন্দা জানাননি, এবং তার প্রশাসন সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে দেয়নি। এমনকি সৌদি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধে কংগ্রেসের পদক্ষেপকে ঠেকিয়ে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তার ক্ষমতায় আসার আগেই সৌদি আরবে একটি বিলাসবহুল টাওয়ার নির্মাণের কাজও শুরু করেছিল ট্রাম্প অরগানাইজেশন।

 

শেয়ার করুন