১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাক্ষ্য আইনের ৫ ধারা

শেয়ার করুন

সাক্ষ্য আইন ১৮৭২, (১৮৭২ সালের ১ নং আইন) আমি আঃ জব্বার ফকির, এডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ঢাকা।

আজকে আমি সাক্ষ্য আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৫ ধারা নিয়ে আলোচনা করব। সাক্ষ্য আইন হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতিগত আইন যে আইন দ্বারা দেওয়ানী,ফৌজদারীসহ বাংলাদেশে প্রচলিত সকল বিশেষ আইনে স্বাক্ষ্য প্রদান,স্বাক্ষ গ্রহনসহ সকল ধরনে বিচার বিশ্লেষন করে বিজ্ঞ আদালত মামলার রায় ডিক্রী প্রদান করে থাকেন । স্বাক্ষ্য আইনের ৫ ধারাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা, এখানে বলা হইয়াছে বিজ্ঞ আদালতে কয় ধরনের ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে স্বাক্ষ্য প্রদান করা যাবে, স্বাক্ষ্য আইনের ৫ ধারায় বলা আছে ২ ধরনের ঘটনার বিষয় আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করা যাবে উহা হইল বিচার্য বিষয়ক ঘটনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ক ঘটনা সম্পর্কে আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করা যাবে। কোন মামলায় বা কার্যক্রমে বিচার্য প্রত্যক ঘটনার এবং এই আইনে যে সমস্ত বিষয়কে প্রাসঙ্গিক বলে গন্য করা হইয়াছে তাহার অস্তিত্ব বা অস্তিত্বহীনতা সম্পর্কে স্বাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে এবং এটা ভিন্ন অপর কোন ঘটনা সম্পর্কে স্বাক্ষ্য দেওয়া যাবে না। অত্র আইনের ব্যাখ্যাঃ দেওয়ানী কার্যবিধি সম্পর্কে বর্তমানে প্রচলিত কোন আইন মোতাবেক কোন ব্যক্তি যে ঘটনা প্রমান করার অধিকারী নয়, এই ধারা মোতাবেক সে ব্যক্তি সে ঘটনা সম্পর্কে স্বাক্ষ্য দিতে পারবে না।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়ঃ
ক) খ- এর মৃত্যু ঘটানোর ইচ্ছা নিয়া লাঠি দ্বারা খ- কে পিটিয়ে হত্যা করার অপরাধে ক- কে অভিযুক্ত হলে।
ক- এর বিচারে নিম্ন লিখিত ঘটনা গুলি বিচার্য বিষয়ঃ
১) ক-কর্তৃক পেটানোর ফলে খ এর মৃত্যু ঘটানো;
২) ক কর্তৃক খ- এর মৃত্যু ঘটানোর ইচ্ছা।

আবার,
দেওয়ানী মামলার বাদী যে মুচেলিকার উপর নিভর করে, তা সে সঙ্গে নিয়া আসেনি। তবে মামলার প্রথম শুনানীতে তা উপস্থাপন না করিলে পরবর্তীতে দেওয়ানী কার্যবিধিতে যেরুপ বিধান আছে, তাহা ভিন্ন অপর কোন পন্থায় সে মামলার পরবর্তী কোন পর্যায়ে উক্ত মুচেলিকা উপস্থাপন বা তাতে বর্ণিত বিষয় প্রমান করিতে পারিবে না।

শেয়ার করুন