
কীর্তনখোলা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান এখনো মেলেনি। এদিকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
টাকা দাবির ঘটনা:
নিখোঁজ সজল দাসের চাচা শংকর দাস জানিয়েছেন, সজলের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের কাছে কল করে ২৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। শুধু সজল নয়, নিখোঁজ অন্য ব্যক্তিদের পরিবারের কাছেও একইভাবে টাকা দাবি করা হচ্ছে।
পুলিশের তদন্ত:
বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন এখনো উদ্ধার করা যায়নি। তবে এই ফোন ব্যবহার করে টাকা দাবি করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় জড়িত বাল্কহেড চালক খালেক মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা:
* ভোলার উত্তরচর ভেদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা স্পিডবোট চালক আল আমিন
* পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে রাসেল আমিন (২৫)
* বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০)
ঘটনার বিবরণ:
গত বৃহস্পতিবার ভোলা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে একটি স্পিডবোট কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি টাকা দাবির ঘটনার তদন্তও চলছে। পুলিশ আশা করছে, শীঘ্রই নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যাবে এবং টাকা দাবির পেছনে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।