
আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশে এক হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪২% সমকামী, ২৪% সাধারণ মানুষ এবং ১০% রোহিঙ্গা। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রবাসী শ্রমিক, যৌনকর্মী, মাদকসেবী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
আক্রান্তদের বয়সের বিচারে দেখা যায়, ৬৩% আক্রান্তের বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছর এবং ২১% আক্রান্তের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি এইচআইভি আক্রান্ত রয়েছেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য, এইডস আক্রান্তদের মধ্যে ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বেশির ভাগই পুরুষ এবং ষাটোর্ধ্ব।
বাংলাদেশে ১৯৮৯ সাল থেকে এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া শুরু হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৪২২ জন এইচআইভি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই হাজার ২৮১ জন মারা গেছেন। চলতি বছর আক্রান্তদের ৫৫% বিবাহিত এবং ৪০% অবিবাহিত। গত বছরের তুলনায় এবার মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমলেও চিকিৎসকরা এখনো শঙ্কিত।
ইউএনএইডসের অনুমান অনুযায়ী, দেশে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ হাজার। কিন্তু চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে মাত্র সাত হাজার ৫০০ জনকে। অর্থাৎ প্রায় দুই হাজার সংক্রমিত ব্যক্তি এখনো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে সমকামী ব্যক্তিরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, যা এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
জাতীয় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শ্রীবাস পাল বলেন, গত দু-তিন বছরে সমকামী পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।