১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় আমন ধানের উজ্জ্বল স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

শেয়ার করুন

বগুড়ায় আমন ধানের ক্ষেতে সবুজের ছড়াছড়ি। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাঠে মাঠে সবুজ ধান দেখা যাচ্ছে। কৃষকরা আমন ধান নিয়ে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন।

ইতিমধ্যে ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে, আর কৃষকরা এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। বগুড়ার উত্তরাঞ্চল শস্য উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত একটি জেলা।

বিভিন্ন রকম ফসল ফলানোর জন্য বগুড়া জেলার কৃষকের আলাদা একটি সুনাম রয়েছে। এখানে উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে বগুড়ায় আমন ধানের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে, এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩১৬ মেট্রিকটন।

 

গত বছরও আমনের জন্য একই পরিমাণ জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল একটু বেশি।আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম সম্ভব।

 

কিন্তু এই বছর শ্রাবণের শুরুতে খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি। কিছুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছিল, কৃষকরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন।

 

তবে সম্প্রতি বৃষ্টিতে তারা আবার আশার আলো দেখছেন। এখন তারা মাঠে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে ধানের চারা বড় করতে কাজ করছেন।

কৃষকেরা আমনের চারা রোপণ করে থাকেন শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে ভাদ্র মাসের মধ্যে ।

শ্রাবণ মাসে অধিক বৃষ্টি হয়ে থাকে এবং এটি চারা রোপণ করার জন্য উপযুক্ত সময়। কিন্তু শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি হয়নি যা কৃষকের জন্য খুব দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায় ।

 

পরবর্তীতে কিছুদিন বৃষ্টি হওয়াতে কৃষকের উদ্বেগ কেটে যায়। কৃষকেরা এখন আমন ধানের ফসল ফলানোর প্রয়োজনীয় যত্ন ও সার প্রয়োগ করছেন। কৃষকের সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রমের মাধ্যমে বেড়ে উঠছে আমন ধান।

বিগত উৎপাদিত আমনে ভাল দাম ও ফলন পাওয়ায় অনেক পরিশ্রম হলেও এই উৎপাদন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা ।

বগুড়ার কৃষকদের জন্য এই সময়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের শ্রম ও চেষ্টা যদি সঠিক ফল দেয়, তবে আগামী দিনগুলোতে স্বর্ণালী ফসলের আবাদ তাদের জীবনযাত্রায় নতুন আশার আলো নিয়ে আসবে।

শেয়ার করুন