১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘ কমিটি: ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন নীতি হিসেবে চালাচ্ছে

শেয়ার করুন

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নির্যাতন কার্যত একটি রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। কমিটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আটক ফিলিস্তিনিদের ওপর মারধর, খাদ্য ও পানিতে বাধা, ইলেকট্রিক শক, যৌন নির্যাতনসহ ভয়াবহ আচরণের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। অনেককে আইনজীবী বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ ছাড়াই মাসের পর মাস ধরে রাখা হয়েছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনিকে প্রশাসনিক আটক আইন ও ‘আনলফুল কম্ব্যাট্যান্টস’ আইনের আওতায় দীর্ঘ সময় ধরে আটক রাখার বিষয়েও সতর্ক করেছে কমিটি।

আটক অবস্থায় নিয়মিত খাবার বঞ্চনা, মারধর, কুকুর দিয়ে আক্রমণ, স্থায়ীভাবে শেকল পরিয়ে রাখা, টয়লেট ব্যবহারে বাধা—এসব আচরণ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে আসতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, অভিযোগগুলো এত গুরুতর যে তারা স্তম্ভিত। তারা ইসরায়েলকে স্বাধীন তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, জাতিসংঘ পক্ষপাতদুষ্ট। তাদের প্রতিনিধি শুনানিতে এসব তথ্যকে ভ্রান্ত দাবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনির মৃত্যু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মনে হচ্ছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, মানুষ এখনও ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। তাঁবুতে শীত–বৃষ্টিতে থাকা, ত্রাণের অভাব এবং দফায় দফায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন