১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এজাহার

শেয়ার করুন

 

যবিপ্রবি প্রতিনিধি ।।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও অশ্লীল আচরণের অভিযোগে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ ওমর ফারুক। তাঁর সঙ্গে এজাহার দাখিলকালে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরিদর্শক ড. রাফিউল হাসান এবং সহকারী প্রক্টর মোঃ হারুন রশীদ।

আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর ২০২৫) দুপুর বারটায় কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত আটটায় ২০২৪–২৫ সেশনের ছাত্রী সাজিদা ইসলাম, মীম আক্তার, জাকিয়া সুলতানা, নুসরাত জাহান, ছন্দা মন্ডল ও ছাবেকুন নাহার মুন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের কাজ সম্পন্ন করতে যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমবটতলাহু এলাকার “মোনায়েম টেলিকম” দোকানে যান। দোকানে ভিড় থাকায় ছাত্রীদের নিজেদের ডিভাইস খুলতে হয়। এসময় এক ছাত্রীর হাতে সামান্য কাটাছেঁড়া হলে দোকানদার মোঃ মোনায়েম হোসেন তার হাত স্পর্শ করে—এজাহারে বলা হয়, এটি তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে করেছেন।

ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানালে দোকানদার বিষয়টিকে ঔষধ লাগানোর চেষ্টা ছিল বলেন। পরিস্থিতিতে বিব্রত হয়ে ছাত্রী হাত সরিয়ে নেন। এর পরে তারা দ্রুত দোকান ত্যাগের সময় দোকানদার তাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।

দোকান থেকে ফিরে ছাত্রীদের সহপাঠীরা ঘটনাটি জানতে পেরে দোকানে গেলে দোকানদার বাজার কমিটির কয়েকজনকে ডেকে তাদেরকে মারধর করে ও হুমকি প্রদান করে এসময় উপস্থিত ছিলেন রাইয়ানুল ইসলাম, মেহনাজ মুনিব তন্ময়, আব্দুল্লাহ আল জোবের, সাব্বির আহম্মেদ, ইয়াছিন আরাফাত শেখ ও রাতুল হাসান।

পরে ছাত্রীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি অনুসন্ধান করে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় (মামলা নং ৮৫) এজাহার দায়ের করে। প্রক্টর জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

শেয়ার করুন