ডিমকে প্রাকৃতিক ‘সুপারফুড’ বলা হয়, যা শরীরের নানা পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। নিয়মিত একটি বা দুটি ডিম খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ হয়।
শীতকালে ডিমের গুরুত্ব আরও বাড়ে। কারণ রোদ কম থাকায় শরীরের ভিটামিন ডি স্বাভাবিকভাবে কম তৈরি হয়। ডিমে থাকে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি গ্রুপ, ভিটামিন বি–১২, বায়োটিন, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, উচ্চমানের প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সেলেনিয়াম। এগুলো রোগ-সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডিমের প্রোটিন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে, ফলে ঠান্ডা, কাশি বা অন্যান্য মৌসুমি অসুখের ঝুঁকি কমে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ডিম খেলে হার্টের সমস্যা ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। একটি ডিমের কুসুমে থাকা কোলেস্টেরল ‘ভালো কোলেস্টেরল’ বাড়াতে সহায়তা করে। ডিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, চোখ ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী এবং পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সুতরাং, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ১-২টি ডিম নিরাপদভাবে খেতে পারেন। শীতকালে এটি আরও উপকারী। তবে হার্ট, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে সপ্তাহে ৫-৭টি ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সিএনআই/২৫
