বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আরও ৬৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময় সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এসব নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের মধ্যে আছেন—কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ইন্দোনেশিয়ার সিটু, নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. আব্দুর কাইয়ুম সরকার, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ধর্মপাশা উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোহন মিয়া বাচ্চু, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আব্দুল আলীম ইয়াছিনসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল এবং মহিলা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতারাও তালিকায় রয়েছেন। ফেনী, নরসিংদী, শেরপুর, খুলনা, ঝালকাঠি, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকার বহু নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন মৃধার পদ স্থগিতাদেশও বাতিল করা হয়েছে। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সব পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছিলেন।
সম্প্রতি আবেদনের ভিত্তিতে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্তে এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়।
সিএনআই/২৫
