কেয়ামতের দিনকে ইসলাম বিভিন্ন নামে উল্লেখ করেছে, যেমন বিচার দিবস, হিসাবের দিন, পরিতাপের দিন, মহাসমাবেশের দিন এবং পুনরুত্থান দিবস। এই দিন মানুষের জন্য এক ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় দিন হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।
মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, কেয়ামতের ভয়াবহতা এত বিস্তৃত যে তা মানুষের কল্পনার বাইরে। যেমন বলা হয়েছে, “সেদিন মানুষ বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো হবে” (সুরা কারিয়াহ : ৪) এবং “সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার পরিবার থেকে; প্রত্যেকের অবস্থা হবে গুরুতর” (সুরা আবাসা : ৩৩-৩৭)।
অন্য আয়াতে উল্লেখ আছে, “প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার শিশুর কথা ভুলে যাবে এবং অন্তঃসত্ত্বা নারী গর্ভপাত করবে; মানুষের অবস্থা হবে মাতালদের মতো, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়” (সুরা হজ : ১-২)।
কেয়ামত কখন সংঘটিত হবে, তা শুধুমাত্র আল্লাহর জ্ঞান ও নিয়ন্ত্রণে। কোরআনে বলা হয়েছে, “কেয়ামতের সময় জানতে চাইলে বলো, ‘এ বিষয়ে জ্ঞান আমার প্রতিপালকের নিকট, তিনি ছাড়া কেউ তা জানাতে পারে না’” (সুরা আরাফ : ১৮৭)।
যদিও সময় কেবল আল্লাহই জানেন, হাদিসে বলা হয়েছে কেয়ামত ঘটবে জুমার দিনে। রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আদম (আ.) সৃষ্টি ও মৃত্যুবরণ, এবং তওবা কবুলও হয়েছে এই দিনে। হাদিসে উল্লেখ আছে, জুমার দিন সকাল থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত মানুষ ও জিন ছাড়া অন্য প্রাণীও কেয়ামতের ভয়ে চিৎকার করে (আবু দাউদ : ১০৪৬)।
সিএনআই/২৫