১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট-২’-এ রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ৬৪

শেয়ার করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদককারবার বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পরিচালনা করছে বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট-২’। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধ দমন জোরদারের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাতভর দুই জেলায় অভিযান চালিয়ে মোট ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১১ জন চিহ্নিত ডাকাত।

অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একটি রামদা, একটি লোহার ছুরি, চারটি হাসুয়া, গাছ কাটার ইলেকট্রিক করাত, ৮টি লোহার রড, ১০০ পিস ট্যাপেন্ডাডল, ৪৬ লিটার চোলাইমদ, ২০ পিস ইয়াবা ও ৪৫০ গ্রাম গাঁজা।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ডাকাতির উৎপাত বেড়ে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর প্রায় একই সময়ে দুই জেলাজুড়ে চিরুনি অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় মোট ২৫০ জন পুলিশ সদস্য অংশ নেয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শাহাব উদ্দীন এবং জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। সেখানে ৪১ জন গ্রেপ্তার হয়।
নওগাঁয় নেতৃত্ব দেন আরআরএফ কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) দীন মোহাম্মদ। পোরশা, নিয়ামতপুর ও সদর এলাকায় রাতভর তল্লাশি, চেকপোস্ট ও বিশেষ নজরদারিতে গ্রেপ্তার করা হয় ২৩ জনকে—এর মধ্যে ৮ জন চিহ্নিত ডাকাত ও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী।

স্থানীয়দের মতে, সাম্প্রতিক চুরি-ডাকাতি ও মাদক বিস্তারে মানুষের উদ্বেগ বেড়ে যায়। রাতভর অভিযানের ফলে স্থানীয়দের মনে স্বস্তি ফিরেছে। তারা মনে করেন, নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চালানো হলে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।

পোরশা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরি-ডাকাতির ঘটনার পর বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, অভিযান চলমান থাকায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নিয়ামতপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, রাতে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজন পলাতক আসামি ও মাদক ব্যবসায়ীকে ধরা গেছে।

নওগাঁ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউল সারোয়ার জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যাচাই চলছে, প্রয়োজন হলে আরও অভিযান চালানো হবে।

রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বিভাগের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে পুরো রেঞ্জজুড়ে অভিযান পরিচালিত হবে।

তথ্য অনুযায়ী, এর আগে গত ৯ নভেম্বর পদ্মার চরে অপারেশন ফার্স্ট লাইট-১ এ পুলিশ, র‍্যাব ও এপিবিএন মিলে ৬৭ জনকে আটক করেছিল।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন