
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ড. মেহেদি আহমেদ আনসারী জানিয়েছেন, বড় ভূমিকম্পের আগে সাধারণত ছোট ছোট কম্পন আঘাত হানে, যা ভবিষ্যৎ বড় কম্পনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা যায়। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্কতা জানান।
তিনি বলেন, একটি এলাকায় সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ বছর পর বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হয়। বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চলে গত দেড়শ বছরে একটি বড় ও পাঁচটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। সবশেষ বড় ভূমিকম্প ঘটেছে প্রায় একশ বছর আগে, তাই নতুন একটি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা সময়ের দিক থেকে অস্বাভাবিক নয়।
ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড না মানাকে বড় বিপদের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো ঘনবসতিপূর্ণ বড় শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে রাজধানীতে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত এবং ২০০-র বেশি মানুষ আহত হওয়ার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভবনেও ক্ষতির খবর এসেছে।
এ পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ঢাকা জেলা প্রশাসন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হওয়ার পরই দ্রুত ‘কন্ট্রোল রুম’ চালু করা হয়।
ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি প্রয়োজনে নিম্নোক্ত নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে
মোবাইল: ০১৭০০-৭১৬৬৭৮
ফোন: ০২-৪১০৫১০৬৫
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সিএনআই/২৫