১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব

শেয়ার করুন

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ‘প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি’ এই নতুন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠানপ্রধানের শূন্যপদ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেবে। এরপর যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এরপর লিখিত বা এমসিকিউ পদ্ধতির ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম গড়ে এসব পদে নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বেসরকারি স্কুল-কলেজ পরিচালনায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের প্রস্তাবনা অনুযায়ী এ পদে কেবল মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। এর ফলে প্রার্থীদের প্রকৃত যোগ্যতা যাচাই নিয়ে প্রশ্ন উঠত। এমন পরিস্থিতি এড়াতে লিখিত বা এমসিকিউ টাইপের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেছে মন্ত্রণালয়ের গঠিত ‘প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি’। এ পরীক্ষা লিখিত হবে নাকি শুধুই এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে, তা চূড়ান্ত করবে এনটিআরসিএর বোর্ড।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হতো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির (ম্যানেজিং কমিটি) মাধ্যমে। তবে এ প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেন, রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইচ্ছানুযায়ী অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাও ঘটত অহরহ। এসব অনিয়ম বন্ধে এবং দক্ষ প্রশাসনিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

শেয়ার করুন