সৌদি আরবের মদিনা ও বাদরের মধ্যবর্তী মুফরাহথ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্যাংকার লরির ভয়াবহ সংঘর্ষে ৪২ জন ওমরাহযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ নারী ও ১১ শিশু রয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই মারা গেছেন বলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। দুর্ঘটনার সময় বেশিরভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষের পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। নিহতদের সবাই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা।
দুর্ঘটনা নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানান, রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাস ও জেদ্দা কনসুলেট নিহতদের পরিবার ও আহতদের সহায়তায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেদ্দার কনসুলেটে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। একই সঙ্গে তেলাঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি গভীর শোক জানিয়ে প্রধান সচিব ও পুলিশপ্রধানকে দ্রুত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন। তেলাঙ্গানা সচিব ক. রামাকৃষ্ণ রাও দিল্লির কো-অর্ডিনেশন সচিব গৌরব উপ্পালের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আলাদা কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দেন।
হায়দরাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানান, আহতদের চিকিৎসা যেন দ্রুত হয় এবং নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায়—এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তদারকি চাওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর থেকেই সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন, ওমরাহ অপারেটর, ভারতীয় কনসুলেট এবং কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবীরা হাসপাতাল ও দুর্ঘটনাস্থলে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সিএনআই/২৫
