নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র এবং ককটেল ব্যবহৃত হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া এলাকায় সংঘর্ষটি সংঘটিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহ আলমের সমর্থকরা ঢাকা যাওয়ার পথে স্থানীয় বিএনপি ও উপজেলা ওলামা দলের নেতাদের সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এরপর উভয়পক্ষ দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে মেতে ওঠে। সংঘর্ষের সময় পাঁচটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে তিনটি বিস্ফোরিত হয়।
আহতদের মধ্যে আছমা আক্তার (৪৭), গিয়াসউদ্দিন মিয়া (৪২), হাবিবুল্লাহ মিয়া (৫৫), পিয়ারিম (৪০) ও কামাল হোসেন (৩৪) সহ ১৫ জন রয়েছেন। আছমা আক্তার, গিয়াসউদ্দিন মিয়া ও হাবিবুল্লাহ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাবিবুল্লাহ মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা এলাকায় একাধিক বাড়িঘর ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। রতন মোল্লার মুদি দোকান থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়া অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দেয়ার সময় তাদের বাধা দিলে তারা হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহ আলম বলেন, তিনি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিএনআই/২৫
