
বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে দেশের প্রায় ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষকরা সারা দেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে অনেক শিক্ষক আহত হন। হামলার পর শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৫৬৭টি এবং এদের শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। কর্মবিরতি শুরুর পর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।
সিএনআই/২৫