
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, তারা আশা নিয়ে এগোচ্ছেন যে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
হামিদুর রহমান বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা এখন একটি সুন্দর ও পরিবর্তিত বাংলাদেশ গঠন—সেই লক্ষ্যেই সংস্কারের মাধ্যমে রাজনীতি এগিয়ে নিতে হবে। জামায়াত কোনো প্রেশার গ্রুপ নয়; তারা রাজপথে রয়েছে জনগণের মতামত ও প্রত্যাশা প্রতিফলিত করার জন্য। মতভিন্নতা মেনে নেওয়া সম্ভব, কিন্তু মতবিরোধ থেকে বিরত থাকা উচিত—এটাই তাদের মনোভাব।
নোট অব ডিসেন্ট ও স্বাক্ষরিত সনদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, কিছু নোট অব ডিসেন্টসহ সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সনদের বাইরে হওয়ায় সেখানে নোট অব ডিসেন্ট নেই। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উপস্থাপন হওয়ার পরই মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন ছুঁড়েন—আমরা কি আবার সনদকে অনিশ্চয়তায় ফেলে ফ্যাসিবাদী সময়ে ফিরে যেতে চাই? যদি গণভোট আগে হয়, তা হবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রকৃত পরীক্ষা। তখন জনগণ আস্থার সঙ্গে ভোটকেখানে যেতে পারবে।
হামিদুর আরও অভিযোগ করে বলেন, অতীতে মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে—এখন তা ফিরিয়ে আনতেই হবে। তিনি উল্লেখ করেন, “২৭ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়নি বললে কি পারবে?” ফলে জনস্বার্থে কিছু খরচ করে গণভোট আয়োজন করা অপচয় নয়।
বিএনপি ও জামায়াত সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতের আহ্বানে বিএনপি এখন পর্যন্ত বসেনি; তবু তারা চাইছে রাজনীতি পুনরায় ফ্যাসিবাদী রং না পাক। বিএনপি আহ্বান করলে জামায়াতও আলোচনায় অংশ নিতে প্রতিজ্ঞ। জামায়াত এখনো আলোচনামুখী—সঙ্গতভাবে রাজপথেও তারা আছে, কিন্তু সহিংসতায় যাচ্ছে না; তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই থাকতে চায়।
আদালতি বা নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট অন্য বক্তব্য হিসেবে একই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সারা দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা দিনরাত্রি কাজ করছেন।