
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে জানা গেছে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কারণ। মূলত পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবদনের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির সদস্যরা।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি এয়ার ফোর্সের ট্রেনিং এয়ারক্রাফট বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন মারা যান। ওই দুর্ঘটনার ওপর ২৯ জুলাই একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। আজকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। জমা দিয়েছেন ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান। তিনি প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার অব আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন।
দুর্ঘটনার মূল কারণ উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, এর মূল কারণ ছিল পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রেস সচিব। ছবি: সংগৃহীত
শফিকুল আলম বলেন, এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন। তার মধ্যে ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। ওনারা ১৬৮টি তথ্য উদঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তারা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।
প্রতিবেদনের প্রধান সুপারিশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে এয়ার ফোর্সের সব প্রাথমিক ট্রেনিং ঢাকার বাইরে পরিচালিত হবে। এখন থেকে এটার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এফ-৭ বিজিআই মডেলের বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামসহ মোট ৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন অনেকেই। হতাহতদের বেশির ভাই প্রতিষ্ঠানটির শিশু শিক্ষার্থী।