
আমাদের চারপাশে পজিটিভ চিন্তা বা বিষয়ের থেকে নেগেটিভ বিষয়গুলোঅনেক বেশি প্রকট। যে কারনে আমাদের জীবনযাপনে স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে শুধু প্রতিযোগিতা হিংসা, হানাহানি, মারামারি সর্বত্রই অরাজকতা। মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে নেতিবাচকতার প্রভাবে।
খেয়াল করে দেখবেন যে, নেগেটিভ মানুষদের আলোচনার টপিক সর্বদাই কেমন যেন অসংলগ্ন ও বেলাইনের হয়। অন্যদের পক্ষ হতে মন্তব্য ও সমর্থন নিয়ে তারা যেন নিজেদের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও আলোচনায় অন্যদেরকে জড়িয়ে নিতে চায়। এমনসব আলোচনায় অংশগ্রহণ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এই নেগেটিভ বিষয় হতে দূরে থাকতে একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে আপনার কর্তব্য হবে সেই আলোচনায় একেবারে মন্তব্য- না করে অংশগ্রহন না করা।
একটু ভাবুন তো আপনি কি কখনো পারবেন নেগেটিভ কোন মানুষের মানসিকতা সম্পূর্ণ পরিবর্তন আনতে? যদি উত্তর ‘না’ হয় তাহলে জেনে রাখুন তাদের এরূপ মানসিকতার জন্যই কিন্তু তাদের মন্তব্যগুলোও হয় অপ্রীতিকর,মাঝে মাঝে বিরক্তিকর।
অতএব অন্যদেরকে পরিবর্তনের ক্ষমতা আপনার নেই, সেহেতু তাদের মাপকাঠিতে নিজেকে তুলনা করে হতাশাগ্রস্ত হওয়া বোকার কাজ। যেদিন হতে আপনি অন্য মানুষের মন্তব্য হতে নিজেকে যাচাই করা শুরু করবেন, ঠিক সেদিন হতেই আপনি নিজের সুখের চাবি অন্যদের হাতে সঁপে দিবেন।
কিন্তু এমনটা যেন না হয়, তাই নিজেকে নেগেটিভ বিষয় হতে দুরে রাখুন। নিজের সুখের মানদন্ড নিজের মত করে গড়ে তুলুন। আপনার চিন্তাই আপনার বাস্তবকে গড়ে তোলে। ভাল থাকবেন স্বকীয় ধারায় সুস্থ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে।
লেখাঃ
লুবনা ইয়াসমিন
সম্পাদক, সিএনআই