
১০০ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রোববার (২ নভেম্বর)। সকাল ১১টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই ড্র অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
সম্প্রতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রাইজবন্ডের ড্র ‘সিঙ্গেল কমন ড্র’ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, একবার ড্র-এর মাধ্যমে সব সিরিজের ফল নির্ধারিত হয়। প্রতিটি সিরিজে ৪৬টি পুরস্কার দেওয়া হবে।
এর মধ্যে রয়েছে—
-
১টি করে প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা,
-
১টি করে দ্বিতীয় পুরস্কার ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা,
-
২টি করে তৃতীয় পুরস্কার ১ লাখ টাকা,
-
২টি করে চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা,
-
৪০টি করে পঞ্চম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে প্রতিটি সিরিজে মোট ৪৬টি পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পরের দিন, অর্থাৎ আগামী সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ড্রয়ের নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে, সেগুলোই ওই ড্রয়ের আওতায় থাকবে। অর্থাৎ, ড্রয়ের দিন (২ নভেম্বর) থেকে দুই মাস আগে বিক্রিত প্রাইজবন্ডগুলো এই ড্রয়ে অংশ নিতে পারবে।
প্রাইজবন্ডে পাওয়া পুরস্কার অর্থের ওপর উৎসে কর কাটা হয়। আয়কর আইন, ২০২৩-এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী, পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থের ওপর ২০ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হবে। পুরস্কারগ্রহীতাদের অর্থ উত্তোলনের সময় কর কর্তনের পর বাকি অর্থ প্রদান করা হবে।
প্রাইজবন্ডের ড্র সাধারণত বছরে চারবার অনুষ্ঠিত হয়— ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই এবং ৩১ অক্টোবর। তবে যদি নির্ধারিত দিনটি কোনো সরকারি ছুটির দিনে পড়ে, তাহলে পরবর্তী কার্যদিবসে ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাইজবন্ড ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের সঞ্চয়কে উৎসাহিত করা এবং বৈধ উপায়ে অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা। দেশে বর্তমানে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডই সবচেয়ে জনপ্রিয়।
উল্লেখ্য, প্রাইজবন্ড ক্রেতারা বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ সরকারি অনুমোদিত ব্যাংক শাখা থেকে এসব বন্ড কিনতে পারেন। বিজয়ীদের নাম ও সিরিয়াল নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে।
আগামীকালের ড্রয়ে অংশ নেওয়া প্রাইজবন্ডধারীরা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন— কে হবেন ৬ লাখ টাকার ভাগ্যবান বিজয়ী!
সিএনআই/২৫