
মো.রাশেদুল্লাহ আলমদার ,পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ার নিউরণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নবজাতক পুত্র সন্তান পাল্টে কন্যা সন্তান দেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ কাঞ্চননগরের সুমন শীল এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাসপাতালের মাসি কাকলি (৪০), নার্স থিম চাকমা (২৫), ডা. নওসীন ও ওয়ার্ড বয় চন্দন (২৫)–কে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহীনা আক্তার জানান, শুনানি শেষে আদালত মামলা কেন নেওয়া হয়নি—তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে পটিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় সুমন শীল তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে পটিয়ার নিউরণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন ভোররাত ৬টায় তার স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয় বলে তিনি জানান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতক পাল্টে কন্যা সন্তান দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাদীর দাবি, তার স্ত্রীর প্রসবের পর জন্ম নেওয়া শিশুটির ওজন ছিল ৩ কেজি ১০০ গ্রাম, কিন্তু হাসপাতাল থেকে দেওয়া কন্যা শিশুর ওজন মাত্র ২ কেজি ৫০০ গ্রাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা না পেয়ে তিনি পটিয়া থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আদালতে মামলা করেন তিনি এবং ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, নবজাতকের রেকর্ড ও ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশনা চান।
নিউরণ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাৎ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শিশু পাল্টে দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
পটিয়া থানার ওসির বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।