১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাবিতে অনড় শিক্ষকরা, রাত কাটাবেন শহীদ মিনারে

শেয়ার করুন
দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। রোববার (১২ অক্টোবর) রাতেও এ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করবেন তারা।
আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে দেশের সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি।
তিনি বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদস্বরূপ আগামীকাল সোমবার থেকেই দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাড়িভাড়া বাড়ানোর দাবিতে তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি এগিয়ে এনেছেন। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা ও প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট।
জানা গেছে, আজ সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। পুলিশ তাদের সরাতে গেলে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষকরা। এরপর তাদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের কারণে শিক্ষকরা সাময়িকভাবে সরলেও পরবর্তীতে পুনরায় সেখানে জড়ো হন। মাইকে শিক্ষক নেতারা সবাইকে শান্তি বজায় রেখে একত্রিত থাকার নির্দেশ দেন।
এদিকে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে যান। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন আজিজী, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. আবু তালেব সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন হেলালী, যুগ্ম সদস্য সচিব আশরাফুজ্জামান হানিফ, যুগ্ম সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন, যুগ্ম সদস্য সচিব তোফায়েল সরকার, যুগ্ম সদস্য সচিব শান্ত ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ রাজু, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রকৌশলী আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং আজিজুর রহমান আজম।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা ছাড়াও চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা।
শেয়ার করুন