
যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল থাকবে।উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি পণ্যের এই অবাধ প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশবিষয়ক বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক, এলডিসি গ্রাজুয়েশন ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসময় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যদূত ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়েও যাতে বাংলাদেশ তার রপ্তানি প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে আমরা কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের অবকাঠামো, সবুজ জ্বালানি, প্রযুক্তি ও শিক্ষা খাতে যুক্তরাজ্য নতুন অংশীদারি গড়ে তুলতে আগ্রহী।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের অর্থনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে এবং এ পরিবর্তন বিপুল পরিমাণ সুযোগ তৈরির পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর অগ্রগতি নিয়েও ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি জানান, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্মিনালটি চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফতানি মো: আব্দুর রহিম খান।