
বাংলাদেশের কক্সবাজারের ঘিঞ্জি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এখনও পর্যাপ্ত টয়লেট ও স্বাস্থ্যসুবিধার অভাব চরম আকারে রয়েছে। বিশেষ করে নারী ও তরুণীরা প্রতিদিনই নিরাপত্তাহীনতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
শিবিরে বসবাসরত তরুণী বুশরা জানান, তাঁর ঘরের সবচেয়ে কাছের টয়লেটও একশ মিটারের বেশি দূরে। তিনি বলেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যেতে হয়, কিন্তু তখন চারপাশ অন্ধকার থাকে। যদি আলো থাকত, অনেক সুবিধা হতো। এছাড়া টয়লেটের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোও কষ্টকর।”
শরণার্থী নারীরা জানান, রাতে আলো না থাকায় টয়লেটে যেতে ভয় লাগে। যৌন হয়রানির আশঙ্কা থাকায় অনেকে ভোর বা রাতের বেলা বাইরে বের হন না। এমনকি দিনের বেলাতেও অনেকেই বোরখা পরে শুধু নারীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেট ব্যবহার করেন।
ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শারমিন সুলতানা বলেন, আমরা এখানে ইন্টিগ্রেটেড উইম্যান হাইজিন সেন্টার চালু করেছি। এর মাধ্যমে নারীরা যেকোনো সময় স্নানের জায়গা ও ২৪ ঘণ্টা নিরাপদ পানির সুবিধা পাচ্ছেন। তবে শিবিরের তুলনায় এই সংখ্যা খুবই সীমিত।
তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে শরণার্থী শিবিরগুলোতে ৩৫টি উইম্যান হাইজিন সেন্টার চালু আছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এটি অপ্রতুল। জায়গা ও অর্থের সংকটের কারণে নতুন কেন্দ্র গড়া সম্ভব হচ্ছে না।
বুশরা বলেন, আমরা তো জানতামই না ক্যাম্পের ভেতরে এমন কোনো সেন্টার আছে। যদি জানতাম, অবশ্যই ব্যবহার করতাম।
সূত্র: ডয়চে ভেলে