১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে মাছ ধরা

শেয়ার করুন

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে টানা ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ অভিযান বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞায় ইলিশ আহরণ, বিপণন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। তবে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে এই ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারীরা জেল-জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এদিকে সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চাঁদপুরের মৎস্য বিভাগ ও জেলা ট্রাস্কর্ফোস। ইতোপূর্বে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এই প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সরকারি সকল নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। আগামি ৫ অক্টোবরের মধ্যে আমরা এ চাল বিতরণ সম্পন্ন করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আশা করছি, সরকারি এ সুবিধাভোগী জেলেরা অবশ্যই ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবে। অন্যথায় অমান্যকারী জেলেরা সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।’

অন্যদিকে সরকারি বরাদ্ধকৃত ২৫ কেজি চাল সহায়তা একেবারেই কম বলে মনে করেন স্থানীয় জেলেরা। শহরতলীর তরপুরচন্ডী ও আশপাশের এলাকার একাধিক জেলে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই সরকারি নির্দেশনা মেনে নদীতে নামি না। কিন্তু সরকার আমাদের জন্য যে বরাদ্ধ দেয় তা দিয়ে আমাদের কিছুই হয় না। তাই চালের পাশাপাশি অন্যান্য খরচের জন্য পরিমাণ মতো নগদ অর্থ বরাদ্ধ দেওয়ার দাবি জানাই।’

শেয়ার করুন