১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

শেয়ার করুন

এশিয়া কাপের শিরোপা নবমবারের মতো ঘরে তুলতে শেষ ২ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৭ রান, হাতে তখনো ৬ উইকেট। ম্যাচ যখন অনেকটাই ভারতের হাতের মুঠোয় তখন ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে শিভাম দুবের উইকেট তুলে নেন ফাহিম আশরাফ। তবে শেষ ওভারে তেমন কিছু পারলেন না হারিস রউফ। ম্যাচ জুড়ে শান্ত অথচ ভীষণ কার্যকরী তিলক ভার্মার কাছে হেরে গেলেন হারিস, হেরে গেল পাকিস্তান।

এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান ও ভারত। টুর্নামেন্টের আগের দুই ম্যাচের মতো ফাইনালেও সেই হারই হজম করতে হলো পাকিস্তানকে। আর ঘরে নবম শিরোপা ঘরে তুলল ভারত। ১৪৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারত শিরোপা জিতল ৫ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখেই।

মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই প্রবল চাপে পড়ে যায় ভারত। ২০ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব ও শুভমান গিলকে। বল হাতে আগুন ঝড়ান শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। তবে এরপর শান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে ভিত্তি এনে দেন তিলক ভার্মা ও সাঞ্জু স্যামসন। ৫৯ বলে ৫৭ রান যোগ করেন তারা। দলীয় ৭৭ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন স্যামসন (২১ বলে ২৪)।

স্যামসন আউট হলেও ওয়ানডে স্টাইলে শিভাম দুবেকে নিয়ে রানের চাকা এগিয়ে নেন তিলক। এক পর্যায়ে বাড়ান রানের গতি। তাতে হতাশ হয়ে পড়ে পাকিস্তানের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত তিলকের কাছে পরাস্তই হতে হয় পাকিস্তানের বোলারদের। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ৫৩ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক। ৩টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ছয়ে নেমে ২২ বলে ৩৩ রানের ভীষণ কার্যকরী ইনিংস খেলেন দুবে।

এর আগে, অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসের পর ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ৮৭ রান করে ফেলে দলটি। সবার যখন ধারণা দুই শ’র আশেপাশে রান করে ফেলবে পাকিস্তান, তখনই মড়ক শুরু হয়। অলআউট হয় নির্ধারিত ২০ ওভারের ৫ বল আগেই।

টসে জিতে আজ পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। তবে সূর্যকুমার যাদবের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে দারুণ সূচনা এনে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। ৮৪ রান যোগ করেন তারা। রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। ৩৮ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি। ১০ ওভারে ৮৭ রান করে দলটি। ১২ ওভার শেষে ওই ১ উইকেট হারিয়েই ১০৭ রান করে ফেলার পর মুদ্রার অন্য পিঠ দেখায় তারা।

১৩তম, ১৪তম, ১৫তম ও ১৬তম ওভারে টানা একটি করে উইকেট হারায় পাকিস্তান। একে একে ফিরে যান সাইম আইয়ুব (১১ বলে ১৪), মোহাম্মদ হারিস (২ বলে ০), ফখর জামান (৩৫ বলে ৪৬) ও হুসাইন তালাত (২ বলে ১)। ১৬ ওভার শেষে দলটির রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৩৩।

১৭তম ওভারে ইনিংসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় দেখে পাকিস্তান। ওই ওভারে সালমান আলি আগা (৭ বলে ৮), শাহিন শাহ আফ্রিদি (৩ বলে ০) ও ফাহিম আশরাফ (২ বলে ০) আউট হন। পরের ওভারে হারিস রউফকে (৪ বলে ৬) ফেরান জাসপ্রিত বুমরাহ। ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান এলেও দীর্ঘ সময় পর উইকেট না হারিয়ে ওভার পার করে পাকিস্তান। তবে ২০তম ওভারের প্রথম বলেই মোহাম্মদ নওয়াজকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন বুমরাহ।

৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। সমান ওভারে সমান রান দিয়ে বরুণ চক্রবর্তীর শিকার ২ উইকেট। সমান ওভারে ২ উইকেট নেওয়া অক্ষর প্যাটেলের খরচ মাত্র ২৬ রান। বাকি ২ উইকেট বুমরাহর।

শেয়ার করুন