১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার পরিবহন সেবা, ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

শেয়ার করুন

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতে প্রতিষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) মূলত গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ২৭ বছর পর প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে এ সেবা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঘোষিত ভাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি; বরং তা নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাহামিদ ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবাকে ঘিরে এক ধরনের নাটকীয়তা চলছে। বলা হয় এটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, কিন্তু বাস্তবে অনেক অনিয়ম চোখে পড়ে। আমাদের সুবিধার জন্য চালু হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।”

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা রাখি বলেন, “পরিবারের খরচ মেটানোই কঠিন, সেমিস্টার ফি দিতে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে লোকাল বাসের তুলনায় বেশি ভাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার আমাদের জন্য বাড়তি চাপ।”

রসায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আলিফ আক্তার ওলিভ জানান, “প্রতিদিন মানিকগঞ্জ থেকে নীলাচল পরিবহনে যাতায়াত খরচ হয় ৬০ টাকা, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে একই রুটে ৯২ টাকা দিতে হচ্ছে। মাস শেষে প্রায় ৬০০ টাকা বেশি খরচের বিষয়টি তাদের জন্য অযৌক্তিক।”

আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ হাসান বলেন, “লোকাল বাসে মাসে মোট খরচ ১৭৬০ টাকা, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৮০০ টাকা। শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ভাড়া গ্রহণযোগ্য নয়। সর্বোচ্চ নামমাত্র ভাড়া (৮০০ টাকা) নির্ধারণ করলেই শিক্ষার্থীরা স্বস্তি পেত।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “বাস ভাড়া পরিবহন শাখার কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেই রিপোর্ট অনুযায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ সম্পর্কে আমি অবগত নই।”

বাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিরঞ্জন বিশ্বাস জানান, “ক্যাম্পাস থেকে মানিকগঞ্জ ও চন্দ্রা রোডে ২টি বাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে, যা চলবে ২ মাস ১৫ দিন।”

তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষামূলক সময়ের ফলাফল অনুযায়ী ভাড়া পুনর্বিবেচনা করা হবে। যদি ভর্তুকির প্রয়োজন না হয়, ভাড়া কমানো যেতে পারে, তবে ভর্তুকি দিতে হলে উল্টো বাড়তেও পারে। হেল্পার নিয়োগ, রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন খরচ বিবেচনায় ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।”

যোগাযোগ: ০১৬৩৬৫৪৫৫০১

শেয়ার করুন