
ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (এএসএম) স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার–এর আয়োজনে “সায়েন্টিফিক রাইটিং অ্যান্ড পাবলিশিং” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ফ্যাকাল্টি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিল্ডিংয়ের ৩১৯ নং কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে মাধ্যমে ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের বিদায় এবং ২০২৫ সালের নবনির্বাচিত টিমের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি মো. আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এএসএম কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিন্নাতুল করিম ও সভাপতিত্ব করেন বায়োটেকনলোজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. নজমুল হুদা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ২০২৪ সালের বিদায়ী সভাপতি শোভন সাহা এবং সেক্রেটারি আবু রেজা।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “যত ভালো গবেষণা হোক না কেন, যদি তা সুগঠিত ও স্পষ্ট ভাষায় উপস্থাপন না করা হয়, তবে তার প্রভাব সীমিত থাকে। গবেষণার সফলতার জন্য লেখা হওয়া চাই স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত ও প্রমাণনির্ভর।”
বিশেষ অতিথি এএসএম কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিন্নাতুল করিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “নৈতিকতা-ভিত্তিক গবেষকই বিজ্ঞান অঙ্গনে স্থায়ী অবদান রাখতে সক্ষম। আজকের এই কর্মশালা সেই নৈতিক ভিতকে আরও মজবুত করবে।”
বায়োটেকনলোজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. নজমুল হুদা বলেন, “এএসএম-এর লক্ষ্য হলো মাইক্রোবায়োলজির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এ ধরনের কর্মশালা সেই লক্ষ্যের বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
নবনির্বাচিত সভাপতি মো. আমিন খান শুভ বলেন, “আজকের কর্মশালা আমাদের একাডেমিক ও প্রফেশনাল যাত্রায় নতুন গতি দেবে বলে আমি আশাবাদী। এএসএম স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার-এর লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা, যা গবেষণা থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনে কাজে লাগবে। পূর্ববর্তী টিমের অবদান আমাদের জন্য অনুকরণীয়, আমরা বর্তমান টিমকে দেশের সেরা এএসএম চ্যাপ্টার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”