
পহেলা বৈশাখের সঙ্গে ‘পান্তা ইলিশ’ কথাটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার বৈশাখের এই ‘পান্তা ইলিশ’। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়ায় ঢাকার বাজারে ইলিশের দাম হয়েছে আকাশচুম্বী।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শুক্কুর আলী গত ৩০ বছর ধরে ইলিশ বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ইলিশের চাহিদা ও দাম দুটোই বাড়ে। আমার দোকানে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের মজুত মাছ রয়েছে, যা আমরা এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজারে পাওয়া বেশির ভাগ তাজা ইলিশের ওজন ৪৫০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে। ৪৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ এক হাজার ৪০০ টাকা, ৫৫০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রাম ওজনের মাছ এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার বাজারগুলোতে ৩০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ছোট আকারের তাজা ইলিশ বেশি পাওয়া যায়, যার দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও মিরপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এই দাম লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে ফার্মগেটের একটি সুপারমার্কেটে দেখা গেছে, এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের তাজা ইলিশ প্রতি কেজি তিন হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পূর্ব রাজাবাজারের আবদুল কাদের ইলিশ কিনতে এসেছিলেন কারওয়ান বাজারে। প্রতি কেজি এক হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ৬০০ গ্রাম ওজনের দুটি মাছ কেনেন তিনি।
আবদুল কাদের বলেন, ‘এই দামে ইলিশ কেনা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। তবে সামনে পহেলা বৈশাখ, তাই পরিবারের জন্য এগুলো কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি ও তার চেয়ে বেশি ওজনের মাছ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায়, প্রতি মণ (৪০ কেজি)। ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের মাছের দাম ছিল মণপ্রতি ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
বরিশাল ফিশ হোলসেল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল সালাম বলেন, ‘১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ আছে। ফলে ইলিশের দাম অনেক বেশি।’